বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বন্যপ্রাণী শাখার গবেষণা কাজের অংশ হিসেবে পাখি প্রজাতির প্রজননের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মাটির হাঁড়ি লাগানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাখি প্রজাতির বাসা বাঁধার সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রজনন সফলতা ত্বরান্বিত করা এ গবেষণা কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. শাহীন আক্তার বিগত ০৭/০৫/২০১৭ তারিখে উক্ত অফিস ক্যাম্পাসের গাছে মাটির হাঁড়ি বাঁধা কার্যক্রমের শূভ উদ্বোধন করেন, এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খুরশীদ আখতার, মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা (বনজ সম্পদ উইং), শেখ মোহাম্মদ রবিউল আলম, সিনিয়র রিসার্চ অফিসার, মোঃ কামরুল ইসলাম, গবেষণা সহকারী (গ্রেড-১) ও শেখ মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন, ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর।
এ বিষয়ে গবেষণাকারী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে দারুণভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেছে জলবায়ু, আবহাওয়ায় এসেছে পরিবর্তন। বিভিন্ন মৌসুমী বৈশিষ্ট্যের তারতম্য ঘটেছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি, খরা ও ঝড়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাখির প্রধান প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি - জুন পর্যন্ত সময়ে অতি বৃষ্টি ও ঝড়ের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে পাখিদের বাসা বাঁধা, ডিমের সুরক্ষা ও সংখ্যা বৃদ্ধির কার্যক্রম। আর তাই অনেক সাধারণ পাখি প্রজননের সুযোগ না পেয়ে জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অথচ পাখিদের প্রজাতি বৈচিত্র ও সংখ্যার সাম্যাবস্থা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই পাখি সংরক্ষণে পরিবর্তিত পরিবেশে বাসা বাঁধার সুযোগ সৃষ্টি করে সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ খুবই দরকার।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২৮ হেক্টর ক্যাম্পাসে ১১৩ প্রজাতির বৃক্ষ, বাঁশ বাগান ও অসংখ্য লতা গুল্মের সমারোহে যে বন্যপ্রাণীর বসতি গড়ে উঠেছে সেখানে বাস করে ৬৯ প্রজাতির পাখি । এসব পাখিদের মধ্যে অধিকাংশ আবাসিক পাখি, যারা সারা বছর এখানে অবস্থান করে প্রজনন মৌসুমে বাসা বাঁধে ও সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এসব পাখির বাসা বাঁধার জন্য ক্যাম্পাসের গাছে গাছে ৩ (তিন) প্রকার হাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে ।