আগর হলো হালকা বাদামী থেকে কালো রঙের সুগন্ধি রেজিন সমৃদ্ধ কাষ্ঠল বনজ সম্পদ যা সাধারণত বয়স্ক গাছের বিভিন্ন অংশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে সঞ্চিত হয়। যদিও বাংলাদেশের সিলেট ও ভারতের আসাম অঞ্চল আগরের আদি প্রাপ্তিস্থান, কিন্তু অবিবেচনাপ্রসূতভাবে অধিক আহরণের ফলে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে সারা বিশ্বব্যাপি এর অস্তিত্ত্ব হুমকির সম্মুখীন। সরকারি ও সেরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষকরে পাহাড়ি এলাকায় আগর প্রচুর বাগান সৃজিত হয়েছে। প্রকৃতিগত ও প্রাকৃতিকভাবে আগর উৎপাদনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায়, কৃত্রিম পদ্ধতিতে আগর উৎপাদন চাষীদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। আগর উৎপাদনের জন্য আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত লোহার পেরেক পদ্ধতি একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় পদ্ধতি, যদিও এটি শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এতে গাছের আয়তনের মাত্র ৫-১০% কাঠ আগর-কাঠে রূপান্তরিত হয়। বিশ্বব্যাপী আগরের বিশেষ কদর ও উচ্চমূল্যের কারণে বিএফআরআই এর বন রসায়ন বিভাগ সম্পূর্ণ গাছে আগর সঞ্চয়নের নিমিত্তে রাসায়নিক পদ্ধতিতে আগর সঞ্চয়ন ও আগর তেল নিষ্কাশন বিষয়ক গবেষণা করছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী গত ৫ই অক্টোবর ২০১৮খ্রি. ব্রাক আগর বাগান ও কারখানা (খৈয়াছড়া চা বাগান, ফটিকছড়ি)-এ বিএফআরআই এর পরীক্ষামূক কৃত্তিমভাবে আগর সঞ্চয়ন প্রযুক্তি ও কারখানায় আগর তেল উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিএফআরআই এর পরিচালক ড. খুরশীদ আকতার আগর সঞ্চয়ন প্রযুক্তি সম্পর্কে সচিব মহোদয়কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। ব্রাক আগরের পরিচালক জনাব সৈয়দ বখত মজুমদার, জিএম জনাব এম এ কুদ্দুস শেখ সর্বাত্তক সহযোগীতা প্রদান করেন। বিএফআরআই এর টীমে আরও ছিলেন বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. ডেইজী বিশ্বাস, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিসেস নসরত বেগম, রিসার্চ অফিসার জনাব মোঃ সাইদুর রহমান জনাব মো. জুনায়েদ ও মিসেস লায়লা আবেদা আক্তার।